সন্দীপ ঘোষ বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দী আছেন। রবিবার তাঁকে সেখান থেকে শিয়ালদহ আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালত চত্বরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, এবং বিচার দাবিতে স্লোগান উঠছে।
শনিবার আরজি কর হাসপাতালের চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ এবং বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। সিবিআই তাঁকে ‘শোন অ্যারেস্ট’ করে শনিবারই গ্রেপ্তার করেছে। রবিবার সিবিআই তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করবে। ইতিমধ্যেই সন্দীপকে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে শিয়ালদহ আদালতে হাজির করানো হয়েছে। আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে, এবং বিচার দাবিতে স্লোগান দেওয়া হচ্ছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়, যার পর তাঁকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার পর হাসপাতালে দুর্নীতির অভিযোগও সামনে আসে। সন্দীপ ঘোষকে তৎকালীন অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানোর দাবিতে পড়ুয়ারা আন্দোলন শুরু করেন, যার ফলে তাঁকে অধ্যক্ষ পদ থেকে সরানো হয়। পরে, আরজি কর হাসপাতালের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই সন্দীপকে গ্রেফতার করে। এবার ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এবং তাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগও আনা হয়েছে।
আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, যিনি বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। শনিবার সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, সন্দীপ এবং অভিজিতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৩৮, ১৯৯ এবং ৬১ (২) ধারায় প্রমাণ লোপাট, অপরাধীকে রক্ষা করতে ভুল তথ্য দেওয়া, সরকারি কর্মী হয়ে আইন অমান্য করা এবং ফৌজদারি ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়েছে।