বঙ্গবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার কারণ সারা দেশব্যাপী চালু হয়েছে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। ভারতবর্ষের সমস্ত ৭০ উর্ধ্বে প্রবীন নাগরিক, তাদের চিকিৎসার জন্য মোদি সরকার ৫ লক্ষ টাকা খরচ দিয়ে থাকেন।
কিন্তু পশ্চিম বাংলার ক্ষেত্রে মমতা ব্যানার্জি এই প্রকল্প চালু করতে দেয়নি। মমতা ব্যানার্জির বক্তব্য আমি নিজে স্বাস্থ্য সাথী পরিষেবা দিচ্ছি। তাহলে ওই কেন্দ্রের প্রকল্প নিয়ে কি লাভ। এদিকে পশ্চিমবাংলার আম জনতা চাইছে দ্রুত আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হোক এই রাজ্যে। কারণ আমাদের হকের টাকা আমরা কেন পাচ্ছি না।
ভারতবর্ষের সমস্ত ৭০ উর্ধ্বে যে সব প্রবীন নাগরিকরা আছে, তাদের বছরে 5 লক্ষ টাকা চিকিৎসা খরচ কেন্দ্রীয় সরকার দেয়, এই আয়ুষ্মান ভারতের প্রকল্পের মাধ্যমে। কিন্তু সেই প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ চালু করতে পারেনি বলে তিনি বঙ্গবাসীর কাছে ক্ষমা চাইলেন।
তিনি বলেছেন দেশের সমস্ত জায়গায় এই পরিষেবা আমি দিতে চাই তা পারলেও, পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে তা দিতে পারছি না তাই পশ্চিমবঙ্গবাসী আমাকে ক্ষমা করুন। দিল্লি সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জি সরকার এই দুই সরকার এই প্রকল্প চালু করতে দেয়নি। তাই এই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তব ডাকেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
তিনি আরো বলেন এই দুই রাজ্যের মানুষের জন্য। কোভিদ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রকল্পের কয়েক হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত হয়ে পড়ে আছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে কিছু বাধ্যবাধকতা থাকে যেগুলো রাজ্যকে এড়িয়ে কোন কিছু করা যায় না।
এক্ষেত্রে দুই রাজ্যের সরকার অনুমতি না দিলে এই প্রকল্প চালু করা সম্ভব না। ইতিমধ্যেই চারদিকে সরল করেছে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের জন্য। পশ্চিমবঙ্গের আমজনতা দ্রুত চাইছে এই প্রকল্প চালু হোক। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রকল্প কৃষি সম্মান নিধি যোজনা প্রথমে চালু করতে চাইনি মমতা ব্যানার্জি সরকার।
তিনি তখন বলেছিলেন আমি কৃষক বন্ধু দিচ্ছি তাই এই প্রকল্প আমাদের রাজ্যে দরকার নেই। প্রসঙ্গত কৃষি সম্মান নিধি যোজনায় বছরের 6000 টাকা দেয় প্রধানমন্ত্রী সমস্ত কৃষকদের। গত ২১ সালে বিধানসভার আগে এই কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি সম্মান নিধি যোজনা প্রকল্প চালু করার অনুমতি দেয়,পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এবারে কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই পথে হাঁটবে। চালু হবে কি পশ্চিমবাংলার ক্ষেত্রে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প।