দিওয়ালি 2024 তারিখ: দীপাবলির রাতে এটি করুন, আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন।



 দিওয়ালি 2024 তারিখ: দীপাবলির রাতে এটি করুন, আপনি ঋণ থেকে মুক্তি পাবেন। 

কার্তিক অমাবস্যার রাতে দীপাবলি উৎসব উদযাপিত হয়। এই রাতে দেবী লক্ষ্মী ও ভগবান গণেশের পূজা করার একটি প্রাচীন রীতি রয়েছে। বলা হয়, দীপাবলির রাতে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ধন-সম্পদ লাভ হয় এবং জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এবার জেনে নেওয়া যাক দীপাবলির রাতে গ্রহণযোগ্য কিছু ঐশ্বরিক ব্যবস্থার কথা।

রৌপ্য মুদ্রা: দীপাবলির দিন দেবী লক্ষ্মীর আরাধনায় গোলাপী কাপড়ে একটি রৌপ্য মুদ্রা নিবেদন করুন এবং সেটি সারা রাত পূজার স্থানে রাখুন। পরের দিন মুদ্রাটি একই কাপড়ে মুড়ে আপনার অর্থ সংরক্ষণের স্থানে রাখুন। এতে আপনার অর্থে স্থায়িত্ব বজায় থাকবে।

গোমতী চক্র:গোমতী চক্র এক ধরনের বিশেষ পাথর, যার একপাশে চক্রের মতো আকৃতি থাকে। দীপাবলির দিনে দুটি সাদা গোমতী চক্র সংগ্রহ করুন এবং মূল প্রদীপের তেলে ডুবিয়ে রাখুন। সীমাহীন সম্পদের আশীর্বাদ পেতে দেবী লক্ষ্মীর কাছে প্রার্থনা করুন। পরের দিন গোমতী চক্রটি তুলে এনে আপনার ধন-সম্পদের স্থানে রাখুন। এতে টাকার অভাব অনুভব হবে না।দীপাবলির দিনে দেবী লক্ষ্মীকে একটি বড় বোতল গোলাপের সুগন্ধি নিবেদন করুন। পুজোর সময় সামান্য সুগন্ধি নিবেদন করে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ নিন। পরের দিন সকালে এই পারফিউমটি তুলে রাখুন এবং নিরাপদে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন সকালে স্নানের পর এটি ব্যবহার করুন, এতে আপনার ব্যক্তিগত আকর্ষণ বৃদ্ধি পাবে।

লাড্ডু: দীপাবলি পূজায় লাড্ডুর ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেবল লাড্ডু দিয়েই ভগবান গণেশের পূজা সম্পন্ন করা যায়। আপনার বয়স অনুযায়ী সমসংখ্যক বুন্দি লাড্ডু সংগ্রহ করুন। প্রতিটি লাড্ডু নিবেদন করে গণেশের উদ্দেশ্যে উচ্চারণ করুন, “ওম গন গণপতে নমঃ।” পূজা শেষে প্রথমে নিজে একটি লাড্ডু গ্রহণ করুন, তারপর বাকিগুলো সবার মধ্যে বিতরণ করুন। এতে অসম্পূর্ণ কাজগুলো সমাধান হবে।
রঙ্গোলি:
দীপাবলির দিনে বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে লাল, হলুদ এবং সাদা রঙ দিয়ে একটি সুন্দর রঙ্গোলি তৈরি করুন। রঙ্গোলির মাঝে একটি স্বস্তিকা আঁকুন এবং সারা রাত সেখানে একটি বড় একমুখী প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখুন। এতে আপনি সুস্বাস্থ্য লাভ করবেন। এছাড়া দীপাবলি পূজায় শঙ্খ রাখারও রীতি রয়েছে, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে পূজার স্থানে শঙ্খ থাকলে নেতিবাচক শক্তি ও প্রতিকূলতা দূরে থাকে।

কড়ি:
কড়ি হলো সামুদ্রিক প্রাণীর এক প্রকার শেল, যা সৌভাগ্যের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদি বাড়িতে কারো বিবাহে বাধা আসে, তবে বিশেষভাবে কড়ির ব্যবহার করতে পারেন। নয়টি কড়ি ঘিতে ডুবিয়ে দেবী লক্ষ্মীর উদ্দেশ্যে নিবেদন করুন। পরের দিন সকালে, সমস্ত কড়ি একটি লাল কাপড়ে বেঁধে মূল দরজার ফ্রেমে ঝুলিয়ে দিন। এতে দাম্পত্য জীবনের বাধা দূর হবে।

প্রদীপ:
প্রদীপের মাধ্যমে সুখ ও সমৃদ্ধির আশীর্বাদ লাভ হয়, এবং প্রদীপ ছাড়া দীপাবলি সম্পূর্ণ হয় না। দীপাবলিতে প্রদীপ জ্বালালে নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং সমৃদ্ধির কামনা পূর্ণ হয়। পূজার মূল স্থানে ঘি দিয়ে একটি একমুখী প্রদীপ জ্বালান, যা সারা রাত জ্বলবে। অন্যান্য স্থানে সরিষা বা তিলের তেলের প্রদীপ জ্বালান, যা সাফল্য ও শান্তি বয়ে আনবে।

খেল বাতাশা:
খেল বাতাশা শুক্রের প্রতীক এবং আপনার সমৃদ্ধির চিহ্ন। দেবী লক্ষ্মীকে খেল বাতাশা নিবেদন করুন; এতে যত বেশি টুকরো থাকবে, ততই ভালো। নিবেদন করার পরে, পরের দিন সেগুলো নিরাপদে রাখুন। যখনই কোনো জরুরি কাজে বাড়ি থেকে বের হন, তখন এই খেল বাতাশা একটু খান। এতে আপনার কাজে সাফল্য পাবেন।