আজ শুভেন্দু অধিকারী সিঙ্গুরের রতন টাটার স্মরণে ঐতিহাসিক মিছিল করলেন


আজ শুভেন্দু অধিকারী সিঙ্গুরের রতন টাটার স্মরণে ঐতিহাসিক মিছিল করলেন




 আজ শুভেন্দু অধিকারী সিঙ্গুরে রতন টাটার স্মরণে ঐতিহাসিক মিছিল করলেন। ঐতিহাসিক মিছিল শেষে মঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রতন টাটার মত এত বড় শিল্পপতি হয় না, তিনি খুব চিন্তা ভাবনা করে পশ্চিমবাংলার জন্য, ন্যানো কারখানা করতে চেয়েছিলেন, পশ্চিমবাংলা কোন শিল্প নেই, কলকারখানা, সেই সময় যে উদ্যোগ নিয়ে তিনি কারখানা করতে এসেছিলেন, তার জন্য আজকের বাংলার মানুষ আফসোস করছে। 

মমতা ব্যানার্জি আন্দোলন করে সিঙ্গুরের থেকে টাটা কে তাড়িয়েছিলেন । আজকে সেই  সিঙ্গুরের জমি এখনো পতিত হয়ে পড়ে আছে, সেখানে কোন কৃষি কার্য হচ্ছে না, আর না হচ্ছে কোন শিল্প। এলাকার মানুষের চরম অসুবিধার মধ্যে পড়েছে। 

শুভেন্দু অধিকারী বলেন মমতা ব্যানার্জি, আপনি বর্ধমান থেকে আসে-যাওয়া করেন তখন যাওয়ার সময় বামদিকে আসার দিকে আসার সময় ডানদিকে একবার তাকাননি, আপনি কি দেখতে পান না, চোখের ডাক্তারকে দেখান, কি করেছেন সিঙ্গুরে ,কি কাণ্ড করেছেন  দেখেছেন।  কি ছিল আর কি করেছেন দেখুন। ১৩ হাজার লোকের জমি ছিল। ১১ হাজার টাকা নিয়ে নিয়েছিল। 

দু হাজার বর্গাদার ছিল, সিপিএমের গরামির জন্য দু হাজার বর্গাদারকে তারা ক্ষতিপূরণ দিতে চাইনি। সিপিএম রা সবাই সমস্ত নেতা মিলে বর্গাদার মাথায় লাঠি মারল আর সেই সুযোগ নিয়ে মমতা ব্যানার্জি বর্গাদার নিয়ে আন্দোলন শুরু করলেন। আজকে মম বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য যদি মেরে মমতা ব্যানার্জিকে তুলে দিত তাহলে আজকে বাংলা এত সর্বনাশ হতো না।

 সিপিএমের জন্যই আজকে এই সর্বনাশটা হয়েছে। নিচুতলা সিপিএম কর্মীরা সবাই মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চায়। তাই আমি সমস্ত সিপিএম কর্মীদেরকে বলব আগামী দিন মমতা ব্যানার্জিকে হারাতে গেলে বিজেপি সঙ্গে থাকুন। আমরা এই সিঙ্গুরেই আবার  টাটাকে দিয়ে শিল্প কারখানা করাবো।

: বক্তব্য শেষে শুভেন্দু অধিকারী রতন টাটা স্মরণে  এক মিনিট  নীরবতা পালন করেন।